এ একটা ক্লিক করুন নিজের জন্য আয় করুন ডলার

রবিবার, ৩০ অক্টোবর, ২০১১

পাটগ্রামে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবী মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন


পাটগ্রাম ডেস্ক :
†K›`ªxq Kg©m~wPi Av‡jv‡K Dc‡Rjv gyw³‡hv×v KgvÛ cvUMÖvg Gi c¶ †_‡K MZKvj iweevi mKvj 10Uvq Dc‡Rjv PË¡‡i gvbeeÜb I Av‡jvPbv mfv AbywôZ nq| 71Õi NvZK †Mvjvg Avhg‡K †MÖßvi I gvbeZv we‡ivax mKj hy×vcivax‡`i wePv‡ii `vex‡Z Dc‡Rjv gyw³‡hv×v KgvÛvi RvwKi †nv‡m‡bi mfvcwZ‡Z¡ e³e¨ iv‡Lb exi gyw³‡hv×v Aa¨¶ Gg Iqv‡R` Avjx, Aa¨¶ knx`yjøvn cÖavb, Rvm` Gi †Rjv AvnevqK `exi DwÏb Avn‡g`, Avãym mvËvi, †Mvjvg dviæK Ges gyw³‡hv×v mšÍvb kIKZ nvqvZ cÖavb evey, iæ‡gj I mvsevw`K Kvgivb nvexe cÖgyL| gvbee܇b gyw³‡hv×v KgvÛvi RvwKi †nv‡mb e‡jb, Awej‡¤^ mKj hy×vcivax‡`i wePvi Kiv bv n‡j mviv‡`‡k e„nËi Av‡›`vj‡bi WvK †`qv n‡e| gvbeeÜb I Av‡jvPbv †k‡l gyw³‡hv×viv GKwU ¯§viKwjwc Dc‡Rjv wbev©nx Kg©KZv© Avey nvqvZ †gv. ingZzjø¨vn Gi Kv‡Q n¯ÍvšÍi K‡ib|

শনিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১১

পাটগ্রাম নব নির্বাচিত ইউনিয়ন পরিষদ প্রতিনিধিদের প্রশিক্ষণ


প্রতিনিধি, পাটগ্রাম.ইনফো
iwe nvweeyi ingvb, cÖwZwbwa (পাটগ্রাম)t AviwWAviGm evsjv‡`k BwcGd cÖK‡íi mnvqZvq be-wbe©vwPZ BDwbqb cwil‡`i †Pqvig¨vb-†g¤^vi‡`i `vqxZ¡ KZ©e¨ welqK 1w`‡bi cÖwk¶Y AvR knx` AvdRvj wgjbvqZ‡b AbywôZ nq| cÖwk¶‡Y Dc‡Rjv wbev©nx Kg©KZ©v Avey nvqvZ †gvnv¤§` ingZzj­vnÕi mfvcwZ‡Z¡ cÖavb AwZw_i e³e¨ iv‡Lb Dc‡Rjv †Pqvig¨vb i“ûj Avgxb eveyj| G mgq Dc‡Rjv fvBm ‡Pqvig¨vb Iqv‡R`yj Bmjvg kvnxb Dcw¯’Z wQ‡jb| D‡j­L¨ AÎ Dc‡Rjvi cvUMÖvg, †Rvsov, KzPwjevox, `nMÖvg, evDov, kªxivgcyi, eywogvix, RMZ‡eo BDwbq‡bi 8Rb †Pqvig¨vb, 72Rb m`m¨ I 24Rb msiw¶Z gwnjv m`m¨ Dcw¯’Z wQ‡jb| cÖwk¶‡Y †Pqvig¨vb‡`i `vqxZ¡ I KZ©e¨ cvj‡bi wewfbœ welq wb‡q AviwWAviGm Gi c‡¶ we¯—vwiZ Av‡jvPbv K‡ib †gv. mvLvIqvZ †nv‡mb-gwbUwis Awdmvi, wd‡ivR Avn‡¤§` wmwbqi g¨v‡bRvi (GmI)|

শুক্রবার, ২৮ অক্টোবর, ২০১১

নারী বলেই কি তার উপর অত্যাচার চালানো যাবে ?



পাটগ্রাম.ইনফো ডেক্স : নার্গিস (১৮) বাড়িতে একা। মা-বাবা দুজনেই রংপুর গেছে। বাবা আব্দুল গফুর সারা পাটগ্রাম উপজেলায় কাপড় ফেরী করে চালায় তাদের সংসার। ওরা যেদিন রংপুর গেছে সেদিই ফেরার কথা। ভাঙা বাড়িতে একা অতবড় মেয়ে থাকবে কী করে। ভয় হয় ওরা যদি সময়মতো না ফিরে! তাই সে তার বাবার ফেরার খোঁজ নিতে যায় বাড়ির পাশে রাস্তার ধারে বাবুলের (৪৫) মুদি দোকানে। সেখান থেকে মোবাইল নিয়ে নার্গিস তার বাবাকে কল দিতেই ওপ্রান্ত থেকে মেয়ের দেয়া কল বুঝতে পেরে কেটে দিয়েই বাবা কল ব্যাক করে। নার্গিস তো আর মোবাইলের অত ঘোরপ্যাঁচ বোঝেনা। ভেবেছিল বাবা বুঝি তার দেয়া কল ধরতে পারছেনা তাই সে বাবুলকে মোবাইলটা ফেরৎ দেয়ার একটু পরই ওপ্রান্ত থেকে কল আসে। দোকানদার বাবুল কল রিসিভ করেই প্রায় চলে যাওয়া নার্গিসকে ডেকে বলে ‘নে তোর বাপের সাথে কথা ক।’ নারগিস বাবার সাথে কিছুক্ষণ কথা বলে জানতে পারে বাবা তার বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছে। আশ্বস্ত নার্গিস মোবাইলটা বাবুলের কাছে ফেরৎ দেয়ার পর জানতে চায় তাকে কত টাকা দিতে হবে। বাবুল জানায়, বিশ টাকা। নার্গিস তার সাথে থাকা দশ টাকা বাবুলকে দিয়ে বলে বাকিটা সে তার বাবার কাছ থেকে নিয়ে দেবে।
ঘটনাটি এমন সরল হলেও হতো। তা নয়। দোকানে যাওয়ার পর নার্গিসকে মোবাইলে কথা বলতে দেয়ার আগে ইঙ্গিতপূর্ণ বিভিন্ন কথা বলে সময় ক্ষেপণ করে বাবুল। মনে মনে রাগ বা বিরক্ত হলেও বাবার নির্দেশিত ঐ দোকানের মোবাইল থেকে কথা বলতে হবে বলে সে সব মেনে নেয়।
বছর খানেক আগে নার্গিসের এমন এক প্রতারক ছেলের সাথে বিয়ে হয়েছিল যার ঘটিবাটি চালচুলো কিছুই নেই। ছেলেটা খেতে দিতে পারত না, শারীরিকভাবে অত্যাচার করত। সেই বিয়ে টিকেছিল প্রায় বছরখানেক। মেয়ের কষ্ট বাবার সহ্য হয়নি তাই, সে মেয়েকে কষ্ট থেকে মুক্তি দিতে সেই স্বামীর কাছ থেকে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এখন সে বাবার বাড়িতে। এখানে কথা প্রসঙ্গে বাবুল প্রাক্তন স্বামীর কথা তুলে বলে, দুলাভাই তোর খবর নেয়না, একা থাকিস কিভাবে কিংবা দুলাভাই’র সাথে আরো সংসার করবি নাকি? এরকম আরো বিভিন্ন কথা। যার মধ্যে প্রচ্ছন্নভাবে ছিল যৌনতার অশালীন ইংগিত। প্রতিবেশী বাবুলকে সে চাচা হিসেবে সম্বোধন করে। তাই বাবুলকে সতর্ক করে দেয় চাচা-ভাতিজীর সর্ম্পক এরকম হওয়া উচিৎ নয়। ইতোমধ্যে দোকানে আরো দু’একজন গ্রাহক আসালে বাবুল কৌশলে কথা আর বেশীদূর গড়াতে না দিয়ে নার্গিসকে তখনকার মতো কোনভাবে বিদায় করে।
বাবুল ভেবেছিল চাচা বলে ডাকলেও তরুণী নার্গিসের সাথে সম্পর্কটা মনে হয় অন্যদিকে ঘুরিয়ে নেয়া যাবে। তাই সে মোবাইলে কল ব্যাকের জন্য যে দশ টাকা নিয়ে রেখেছিল সেটা ফেরৎ দেয়ার নামে নার্গিসকে আবার আমিনুর নামে প্রতিবেশী একজনের মাধ্যমে খবর দিয়ে দুপুরের পর আসতে বলে। বিকালের দিকে অভাবী সংসারের নার্গিস টাকাটা ফেরৎ আনতে গেলেই ঘটে বিপত্তি। দোকানে যেয়ে নার্গিস দেখে দোকান মালিক বাবুল তার ছেলে আলালকে দোকানে বসিয়ে রেখে বাড়ি গেছে। তবে ছেলে জানায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বাবা ফিরবে। নার্গিসের অপেক্ষার এক পর্যায়ে বাবুল এসেও যায়। নার্গিস তার টাকা চাইতেই বাবুল আবারও ইয়ার্কির ছলে বলে কিসের টাকা। দুপুরের আগে ইয়ার্কিটা এমন ছিল যে সহ্য হয়নি নার্গিসের। এবার নার্গিস ছেলের সামনে কড়া দু’চার কথা শুনিয়ে দেয়। এমন দু’এক কথাতেই বাবুলের ছেলে আলাল (২০) দোকান থেকে নেমে রাস্তার পাশে জ্বালানী হিসেবে বিক্রির জন্য রাখা গাছের ডাল নিয়ে প্রচণ্ড আক্রোশে ঝাপিয়ে পড়ে নির্দোষ নার্গিসের উপর। নির্মম পিটুনী দেয় সে। এতে নার্গিসের শরীরের কোথাও চামড়া খুলে যায় আবার কোথাও পড়ে কালশীটে দাগ। এঘটনা দেখে নার্গিসের খালা আমিনা তাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তাকেও পিটুনী দেয় আলাল।          
আহত অপমানিত নার্গিসের জন্য সমাজের এর-ওর কাছে সুবিচারের জন্য গিয়েছিল বাবা আব্দুল গফুর। কিন্তু মেয়ের সুবিচার তার কাছে অধরাই থেকে গেছে। ঘটনাটি গত ২৫ অক্টোবরের জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মির্জারকোট গ্রামের। এই প্রতিবেদক দুপক্ষের কাছ থেকেই ঘটনা শুনে সামাজিকভাবে এর সুরাহার জন্য বাবুলের উপর চাপ প্রয়োগ করে। যাতে অনেকের সামনে দিনদুপুরে লাঞ্চিত অপমানিত নার্গিস কিছুটা হলেও শান্তনা পায় এই মনে করে যে, সমাজে এখনো সুবিচার হয়। কিন্তু অন্যায় এই কৃতকর্মটির জন্য বাবুল ও তার ছেলে আলাল যখন সুষ্ঠু সমাধান চাইল না তখন দিনদুপুরে অনেকের সামনে সম্মান হারানো নার্গিসের বাবা তার আদরের মেয়েকে নিয়ে আর কোথায় যাবে?

বৃহস্পতিবার, ২৭ অক্টোবর, ২০১১

পাটগ্রাম সীমান্তে দুই বাংলার মানুষের মিলন মেলা

প্রতিনিধি, পাটগ্রাম ইনফো :
লালমনিরহাট : কালীপুজা উপলক্ষে উভয় বাংলার মানুষের দেখা সাক্ষাতের জন্য লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) কাটাতারের বেড়ার ৮টি গেইট বৃহস্পতিবার সকাল থেকে খুলে দেয়া হয়েছিল। এ সময় দুই বাংলার শত শত নারী-পুরুষ ও শিশু সেসব গেইটে পরস্পরের সাথে কুশল বিনিময় করে।
দর্শনার্থীরা জানান, প্রথমদিকে বিএসএফ সদস্যরা বাংলাদেশিদের কাছে কালীপূজার প্রসাদ বিতরণ করেছেন। এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে সীমান্তে সনাতন হিন্দুর্ধমাবলম্বীদের আত্মীয়-স্বজনরাও একে অপরের সঙ্গে দেখা করার জন্য দলে দলে গেইটে আসেন।
ভারতীয় কুচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গা মহকুমার ধাপরা সীমান্তের ভারতীয় কাটাতারের বেড়ার ৮নং গেইটে কথা হয় বাংলাদেশি কলেজ পড়–য়া দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী সম্পা রাণীর (১৮) সঙ্গে। তিনি জানান, গত ফাল্গুন মাসে ভারতীয় ধাপরা নিবাসী ডা. কৃষ্ণ রায়ের সঙ্গে তার জ্যাঠাতো বোন গীতা রানীর বিয়ে হয়েছে। তাদের সঙ্গে দেখা করার জন্য কাকীমা ও ছোট ভাইদের সঙ্গে সেও এসেছে। তাদের সাথে দেখা ও কথা হয়ে সে তার ভাল লাগার অনুভূতির কথা জানান। তিনি আরো বলেন, এই সুযোগ যদি প্রতিবছর দেওয়া হতো তাহলে খুবই ভালো হবে।
ভারতীয় ধাপরা সীমান্তের বাসিন্দা অনিল চন্দ্র রায়, জীতেন চন্দ্র রায়, দিপালী ঘোষ ও পিংকী রাণী সাহা বলেন, আগে যখন সীমান্তে কাটাতার ছিল না। তখন যখনই ইচ্ছে হতো ওপারে আমাদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা করতে পারতাম। তারাও দেখা করতে পারতেন। কিন্তু সীমান্তে তারকাটার বেড়া নির্মাণ করার কারণে আমরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত। তারা আরো জানান, এভাবে প্রতিবছর পুজা ও ঈদের সময় গেইট খুলে দিলে আমরা আত্মীয়-স্বজনদের সাথে দেখা-সাক্ষাৎ ও কুশলাদি বিনিময় করার সুযোগ পেতাম।
গেইটের দায়িত্বে থাকা ভারতীয় সীমান্ত রক্ষীবাহিনীর সদস্য ভীরেন্দ সিং (সাংবাদিকতার পরিচয় গোপন রেখেছিলাম) বলেন, এপার আর ওপার বাংলায় তো ভেদাভেদ নেই। আমরা একে অপরের প্রতিবেশী। সরকার চাইলে সব পারে, তাই সরকার হুকুম দিলে সীমান্ত খুলে যাবে।
বাংলাদেশী আলাউদ্দিন নগর ও ভারতীয় ধাপরা সীমান্তে প্রায় ২ ঘণ্টা অবস্থানকালে দেখা যায়, দুই বাংলার মানুষের ভালবাসার সেতুবন্ধন। আগত দর্শনার্থীদের মধ্যে অনেকেই দীর্ঘদিন পর নিকটাত্মীয়দের কাছে পেয়ে আনন্দ-আবেগে আপ্লুত হয়ে উঠেন। অনেকেই এখানে এসেছেন দুই বাংলার চিরচেনা বন্ধু এবং পরিচিতদের সাথে কুশল বিনিময়ের জন্য। আগত দর্শনার্থীদের ছবি তোলার একপর্যায়ে বিএসএফ সদস্য ভীরেন্দ্র সিং স্বেচ্ছায় ক্যামেরায় বন্দী হওয়ার জন্য এগিয়ে আসলেন। ছবি তুলে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিয়েছেন তিনিও। তবে সন্ধ্যায় গেইট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এ ব্যাপারে রংপুর ৩৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসার লে. কর্ণেল ওমর সাদী বলেন, আগের যে কোন সময়ের তুলনায় বর্তমানে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে সম্পর্ক খুবই ভাল। তারই নিদর্শন স্বরুপ সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফ কালিপূজা উপলক্ষ্যে কাটাতারের বেড়ার গেইট খুলে দিয়েছে। এর ফলে উভয় দেশের শত শত বাঙালী একে অপরের সঙ্গে উৎসব মুখর পরিবেশের কুশল বিনিময় করেছেন।